ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার মধ্যে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। ভারতের পদক্ষেপে ভীত পাকিস্তান জানিয়েছে যে তারা রবিবার, অর্থাৎ ১৮ মে পর্যন্ত ভারতের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) ক্রমাগত গোলাগুলি এবং ড্রোন হামলার মধ্যে এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তকে সাময়িক স্বস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, ভারত এখনও এই চুক্তির আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায় কারণ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর পরিচালনা করে। এই অভিযানে ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে অনেক সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করে পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে। এর পরে, পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই অনেক ড্রোন হামলা ধ্বংস করে দেয়।
যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে পাকিস্তান ভীত
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের হঠাৎ যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভারতের কঠোর পদক্ষেপ এবং বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানের ভাবমূর্তির উপর চাপের কারণে তারা পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে আরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে পাকিস্তান বর্তমানে আরেকটি প্রকাশ্য যুদ্ধ এড়াতে চায়, বিশেষ করে এমন এক সময়ে যখন তার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিও অস্থিতিশীল।
মধ্যস্থতায় জড়িত নয় যুক্তরাষ্ট্র
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি না করার ঘোষণার পর, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার মাধ্যমে নয় বরং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ডিজিএমও স্তরের আলোচনার ফলাফল। ভারত ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কোনও তৃতীয় দেশের ভূমিকা গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন দেখার বিষয় হলো রবিবারের পরেও কি এই যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকে নাকি সীমান্তের পরিস্থিতি আবারও বিস্ফোরক হয়ে ওঠে।
বর্তমানে, এই যুদ্ধবিরতি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বেসামরিক নাগরিক এবং সৈন্যদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস। এটি কয়েক ঘন্টা বা দিনের জন্য শান্তিপূর্ণ হতে পারে, কিন্তু এর স্থায়িত্ব সন্দেহজনক। আন্তর্জাতিক কূটনীতির চোখ এখন সেই দিকে নিবদ্ধ যে ভবিষ্যতে এই শান্তি বজায় থাকবে নাকি রবিবারের পরে আবার বন্দুকের শব্দ হবে।
No comments:
Post a Comment